আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করেছে তালিবান কর্তৃপক্ষ। রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রাদেশিক শহরে ইতোমধ্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোনো লিখিত নির্দেশ জারি করেনি তালেবান সরকার । তবে দেশটির একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যেসব নারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদেরকে আর লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবান।
অবশ্য তালেবানগোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের আগ পর্যন্ত যে দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর ব্যাপারটি খুব সাধারণ ছিল—এমন নয়; তবে রাজধানীসহ বিভিন্ন প্রাদেশিক শহরে সে সময় নারীদের গাড়ি চালাতে দেখা যেত।
গত বছর আগস্টে কট্টরপন্থী তালেবান বাহিনী জাতীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের সড়কগুলোতে নারী গাড়িচালক তেমন দেখা যায়নি; আর সাম্প্রতিক এই নির্দেশ জারির মাধ্যমে নারীদের গাড়ি চালনা একরকম নিষিদ্ধই করল তালেবান।
নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান নেওয়ার জন্য বরাবরিই পরিচিত তালেবান বাহিনী। ২০২১ সালে জাতীয় ক্ষমতা দখলের পরই আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে।
অবশ্য তালেবান নেতারা জানিয়েছেন, ‘শিক্ষক স্বল্পতার’ কারণে মেয়েদের স্কুলগুলো খোলা সম্ভব হচ্ছে না। ‘খুব শিগগিরই’ এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার অভিযোগ, তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে।